উদ্যোক্তা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের হতে পারেন, এবং তাদের শ্রেণিবিভাগ করা যায় বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে। মূলত, উদ্যোক্তা চারটি প্রধান ধরনের হতে পারেন, যদিও আরও অনেক উপভাগে বিভক্ত করা যায়:
১. নবীন বা নতুন উদ্যোক্তা (New or Novice Entrepreneur)
যারা নতুন উদ্যোগ শুরু করেন এবং এর আগে কোনো ব্যবসা পরিচালনার অভিজ্ঞতা নেই। তারা নতুন ধারণা বা পরিকল্পনা নিয়ে ব্যবসার জগতে প্রবেশ করেন এবং সাধারণত শুরুর দিকে তুলনামূলকভাবে ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকেন।
২. সিরিয়াল উদ্যোক্তা (Serial Entrepreneur)
এ ধরনের উদ্যোক্তারা একের পর এক নতুন উদ্যোগ শুরু করেন এবং একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকেন। তারা প্রথম উদ্যোগ সফল হলে সেটিকে অন্য কারো হাতে পরিচালনা করতে দিয়ে আবার নতুন উদ্যোগ শুরু করেন।
৩. প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তা (Corporate Entrepreneur)
যারা কোনো প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে নতুন উদ্যোগ বা প্রকল্প শুরু করেন। এদেরকে “ইনট্রাপ্রেনার”ও বলা হয়। তারা প্রতিষ্ঠানের সীমার মধ্যে থেকেই নতুন পণ্য বা সেবা উদ্ভাবন করেন এবং ব্যবসার উন্নয়নে সহায়ক হন।
৪. সামাজিক উদ্যোক্তা (Social Entrepreneur)
যারা সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেন। তাদের লক্ষ্য সাধারণত মুনাফা অর্জন নয়, বরং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা। উদাহরণ হিসেবে দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং পরিবেশ সংরক্ষণের মতো বিষয়গুলোর উপর কাজ করেন।
এই প্রধান শ্রেণির বাইরে আরও কিছু প্রকারের উদ্যোক্তা আছেন, যেমন:
নারী উদ্যোক্তা: যারা নারী এবং ব্যবসার জগতে কাজ করছেন।
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা: যারা ছোট পরিসরে বা সীমিত সম্পদ নিয়ে কাজ করেন।
কৃষি উদ্যোক্তা: যারা কৃষি ও কৃষিভিত্তিক উদ্যোগের সাথে যুক্ত।
বিনিয়োগকারী উদ্যোক্তা: যারা ব্যবসায় মূলধন বিনিয়োগ করে মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করেন।
এছাড়া, বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে যেমন ঝুঁকি নেওয়ার সক্ষমতা, প্রযুক্তির ব্যবহার, এবং উদ্যোগের লক্ষ্য অনুযায়ী আরও বিভিন্ন ধরনের উদ্যোক্তা থাকতে পারেন।